অন্তরতর অন্তরতম তিনি যে

শ্রী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
 
অন্তরতর অন্তরতম তিনি যে
ভুলোনা রে তায়
থাকিলে তার সঙ্গে
পাপ তাপ দূরে যায়।।
 
হৃদয়ের প্রিয় ধন,
তাঁর সমান কে?
সেই সখা বিনা
সুখ শান্তি দিবে কে তোমায় ?।
 
ধন জন জীবন
সব তাঁর করুণা
তার করুণা
মুখে বলা নাহি যায়।
 
এত যার করুণা
তাঁরে কি ভুলিবে?
তাঁরে ছাড়িয়ে
ভব সাগরে ত্রাণ কোথায়?।

মানুষ হ'

কথা ও সুরঃ গুরু সদাই দত্ত

মানুষ হ' মানুষ হ'
আবার তোরা মানুষ হ'।
অনুকরণ খোলস ভেদী
কায়মনে বাঙ্গালী হ'।।

শিখেনে দেশ-বিদেশের গান
তবু হারাসনে মা'র দান
বাংলা ভাবে পূর্ণ হয়ে
সুধন্য বাঙ্গালী হ'।

করে বাংলাজাত প্রাণ
খেটে বাংলা সেবায় দান।
বাংলা ভাষায় বুলি বলে,
বাংলা ধাঁচে নেচে খেলে
সুধন্য বাঙ্গালী হ'।
বিশ্ব মানব হবি যদি
শাশ্বত বাঙ্গালী হ'।।

অন্তরতর অন্তরতম তিনি যে

শ্রী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর

অন্তরতর অন্তরতম তিনি যে ভুলোনা রে তাঁয়
থাকিলে তাঁর সঙ্গে পাপ তাপ দূরে যায়।।

হৃদয়ের প্রিয় ধন, তাঁর সমান কে?
সেই সখা বিনা সুখ শান্তি দিবে কে তোমায় ?।

ধন জন জীবন সব তাঁর করুণা
তার করুণা মুখে বলা নাহি যায়।

এত যার করুণা তাঁরে কি ভুলিবে?
তাঁরে ছাড়িয়ে ভব সাগরে ত্রাণ কোথায়?।

সোনালী আলোর রেখা

কথা: মোঃ ওয়াহিদুল হুদা
সুর: রকিবুল হাসান

সোনালী আলোর রেখা,
দিগন্তে উঁকি দেয়
আঁধারের কালিমা,
মুছে বুঝি যায় যায়।
নাও খুলে, পাল তুলে, চল যাই দুরে ...
(চল যাই চলে যাই,
তমশাকে পিছে ফেলে,
সব গ্লানি মুছে ফেলে)
নতুন আলোয় দেশ ভরবার এ সময়।।


ছিল যত বঞ্চনা, কপট প্রবঞ্চনা
ঈষাণ কোণের মেঘে বজ্রের আনাগোনা
রুদ্র প্রতাপে আজ হল সব অবসান
নির্ভীক মাল্লা ঐক্যের গান গায়।।

অমাবশ্যার ঘোর নিকষ আঁধার রাত
এস আজ মিলে মিশে হাতে রাখি হাত
দৃপ্ত পদক্ষেপে চলবই এগিয়ে
মনে এই বিশ্বাস সত্যের হবে জয়।।

এসো মুক্ত করো

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এসো মুক্ত করো মুক্ত করো,
অন্ধকারের এই দ্বার,
এসো শিল্পী, এসো বিশ্বকর্মা,
এসো স্রষ্টা, রস রূপ মন্ত্র দ্রষ্টা,
ছিন্ন করো, ছিন্ন করো,
বন্ধনের এ অন্ধকার,
দিকে দিকে ভেঙ্গেছে যে শৃংখল,
দুগর্ত দলিতেরা পায় বল
এ শুভলগনে আজ
তোমার স্মরণ করি রূপকার,
এসো মুক্ত কর হে এই দ্বার,
উঠেছে যে জীবনের লক্ষ্মী,
মৃত্যু সাগর মন্থনে,
নূতন পৃথিবী চায় শিল্পীর বরাভয়,
নব সৃষ্টির শুভক্ষণে,
এসো শ্রমিকের সাম্য ও ঐক্যে,
এসো জনতার মুখরিত সখ্যে,
এসো দু:খ তিমির ভেদি দুর্গম ধ্বংসে,
মৃত্যু আঘাত করি চূর্ণ,
এসো প্রাণের আধার করি পূর্ণ।

বজ্রে তোমার বাজে বাঁশী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বজ্রে তোমার বাজে বাঁশী,
সে কি সহজ গান।
সেই সুরেতে জাগব আমি,
দাও মোরে সেই কান।

আমি ভুলবনা আর সহজেতে,
সেই প্রাণে মন উঠবে মেতে,
মৃত্যু-মাঝে ঢাকা আছে যে অন্তহীন প্রাণ।

সে ঝড় যেন সই আনন্দ,
চিত্তবীণার তারে,
সপ্ত সিন্ধু দশ দিগন- নাচাও যে ঝঙ্কারে,
আরাম হতে ছিন্ন করে সেই গভীর গো মোরে,
অশান্তির অন্তরে যেথায় শান্তি সুমহান।

জাগো হে রুদ্র

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জাগো হে রুদ্র জাগো,
সুপ্তি জড়িত তিমির জাল সহেনা গো,
এসো নিরুদ্ব দ্বারে বিমুক্ত করো তারে,
তনু মন প্রাণ ধন জন মান,
হে মহাভিক্ষু মা গো।