সোনালী আলোর রেখা

কথা: মোঃ ওয়াহিদুল হুদা
সুর: রকিবুল হাসান

সোনালী আলোর রেখা,
দিগন্তে উঁকি দেয়
আঁধারের কালিমা,
মুছে বুঝি যায় যায়।
নাও খুলে, পাল তুলে, চল যাই দুরে ...
(চল যাই চলে যাই,
তমশাকে পিছে ফেলে,
সব গ্লানি মুছে ফেলে)
নতুন আলোয় দেশ ভরবার এ সময়।।


ছিল যত বঞ্চনা, কপট প্রবঞ্চনা
ঈষাণ কোণের মেঘে বজ্রের আনাগোনা
রুদ্র প্রতাপে আজ হল সব অবসান
নির্ভীক মাল্লা ঐক্যের গান গায়।।

অমাবশ্যার ঘোর নিকষ আঁধার রাত
এস আজ মিলে মিশে হাতে রাখি হাত
দৃপ্ত পদক্ষেপে চলবই এগিয়ে
মনে এই বিশ্বাস সত্যের হবে জয়।।

এসো মুক্ত করো

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এসো মুক্ত করো মুক্ত করো,
অন্ধকারের এই দ্বার,
এসো শিল্পী, এসো বিশ্বকর্মা,
এসো স্রষ্টা, রস রূপ মন্ত্র দ্রষ্টা,
ছিন্ন করো, ছিন্ন করো,
বন্ধনের এ অন্ধকার,
দিকে দিকে ভেঙ্গেছে যে শৃংখল,
দুগর্ত দলিতেরা পায় বল
এ শুভলগনে আজ
তোমার স্মরণ করি রূপকার,
এসো মুক্ত কর হে এই দ্বার,
উঠেছে যে জীবনের লক্ষ্মী,
মৃত্যু সাগর মন্থনে,
নূতন পৃথিবী চায় শিল্পীর বরাভয়,
নব সৃষ্টির শুভক্ষণে,
এসো শ্রমিকের সাম্য ও ঐক্যে,
এসো জনতার মুখরিত সখ্যে,
এসো দু:খ তিমির ভেদি দুর্গম ধ্বংসে,
মৃত্যু আঘাত করি চূর্ণ,
এসো প্রাণের আধার করি পূর্ণ।

বজ্রে তোমার বাজে বাঁশী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বজ্রে তোমার বাজে বাঁশী,
সে কি সহজ গান।
সেই সুরেতে জাগব আমি,
দাও মোরে সেই কান।

আমি ভুলবনা আর সহজেতে,
সেই প্রাণে মন উঠবে মেতে,
মৃত্যু-মাঝে ঢাকা আছে যে অন্তহীন প্রাণ।

সে ঝড় যেন সই আনন্দ,
চিত্তবীণার তারে,
সপ্ত সিন্ধু দশ দিগন- নাচাও যে ঝঙ্কারে,
আরাম হতে ছিন্ন করে সেই গভীর গো মোরে,
অশান্তির অন্তরে যেথায় শান্তি সুমহান।

জাগো হে রুদ্র

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

জাগো হে রুদ্র জাগো,
সুপ্তি জড়িত তিমির জাল সহেনা গো,
এসো নিরুদ্ব দ্বারে বিমুক্ত করো তারে,
তনু মন প্রাণ ধন জন মান,
হে মহাভিক্ষু মা গো।

বাংলার মাটি বাংলার জল

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বাংলার মাটি বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার ফল,
পুন্য হউক, পুন্য হউক,
পুন্য হউক, হে ভগবান।

বাংলার ঘর, বাংলার হাট,
বাংলার বন, বাংলার মাঠ,
পুর্ন হউক, পূর্ন হউক,
পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।

বাঙালির পন, বাঙালির আশা,
বাঙালির কাজ, বাঙালির ভাষা,
সত্য হউক, সত্য হউক,
সত্য হউক, হে ভগবান।

বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন,
বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন,
এক হউক, এক হউক,
এক হউক, হে ভগবান।

এগিয়ে চল

কথা: মোঃ ওয়াহিদুল হুদা
সুর: রকিবুল হাসান

প্রাচীন প্রথা গুঁড়িয়ে দিয়ে
এগিয়ে চল।
শতবর্ষের জঞ্জাল পায়ে
দলিয়ে চল- এগিয়ে চল।।

পথ হোক যত বন্ধূর সুকঠিন
সম্মুখে ছাওয়া আঁধার অন্তহীন
মনের চোখের আলোয় আঁধার
কাটিয়ে চল - এগিয়ে চল।।

মিথ্যে সংস্কারের প্রাচীর পাহাড় অটল
আসমান সম বিস্তৃতি ভূমে শেকড় অতল
সমূল উৎপাটনের মন্ত্র
আউড়ে চল- এগিয়ে চল।।